ফ্লুকোনাজল-ক্যাপসুল-এর-কাজ-কি


আপনারা যারা ফ্লুকোনাজল ক্যাপসুল অথবা ট্যাবলেটের এর কাজ কি? এবং খাওয়ার নিয়ম A to Z সবকিছু জানতে চান তাদের জন্য এই আর্টিকেলটি লিখতে বসেছি। আপনি যদি পোস্ট টি মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে এই ঔষধ নিয়ে যাবতীয় খুটিনাটি সকল তথ্য জানতে পারবেন।

Fluconazole Capsule / ফ্লুকোনাজল ক্যাপসুল ৫০-১৫০ মি:গ্রা: এর কাজ কি?

১। মুখের মধ্যে ছত্রাকের সংক্রমণের চিকিৎসার জন্যফ্লুকোনাজল ক্যাপসুল ব্যাবহৃত হয়।

২। যোনি ক্যান্ডিডায়াসিস মহিলা যৌনাঙ্গ অঙ্গে খামির সংক্রমণের নিরাময়ের জন্য ডাক্তারগন ফ্লুকোনাজোল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

৩। গলা এবং ঘাড়ের মধ্যে ছত্রাক সংক্রমণের চিকিৎসায় ফ্লুকোনাজল বৃবহৃত হয়।

৪। মূত্রনালীর সংক্রমণ (Urinary Tract Infection) প্রস্রাবের ফাংগাল সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য ফ্লুকোনাজল ব্যবহৃত হয়।

৫। ক্যান্ডি‌ডেমিয়া (Candidemia) ফ্লুকোনাজোল (Fluconazole) পুরুষ যৌনাঙ্গের অঙ্গের ফাঙ্গাল সংক্রমণের জন্য সেবন করা হয়।

৬। পেরিটোনাইটিস (Peritonitis) ফ্লুকোনাজোল (Fluconazole) পেট মধ্যে ফাঙ্গাল সংক্রমণ চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়।

৭। কেমোথেরাপি চলছে বা এইডস আছে এমন ব্যক্তিদের মধ্যে সম্ভাব্য ছত্রাক সংক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য সেবন করা হয়।

Fluconazole Capsule হলো বিভিন্ন ছত্রাকজনিত ক্যানডিডিয়াসিস যেমন মহিলাদের প্রশাবের রাস্তায় চুলকানি, দাদ ও চামড়ায় ছত্রাকের সংক্রমনে রোগের নিরাময়ের জন্য সেবন করা হয়।
ফ্লুকোনাজল ক্যাপসুলটি দাদ রোগের জন্য খুবই কার্যকরী একটি ঔষধ, এটি সেবনে খুব দ্রুতগতিতে দাদ রোগ সেরে যায় বলে জানতে পেরেছি

ফ্লুকোনাজল ৫০ এর দাম কত?

ফ্লুকোনাজল ক্যাপসুল ৫০ মিঃ গ্রাঃ প্রতি পিসের মুল্যেঃ ৭ টাকা।

ফ্লুকোনাজল ১৫০ এর দাম?

ফ্লুকোনাজল ক্যাপসুল ১৫০ মিঃ গ্রাঃ প্রতি পিসের মুল্যেঃ ২২ টাকা।

ফ্লুকোনাজল ২০০ এর দাম?

Fluconazole Capsule 200 mg এর দাম খুজেঁ পেলাম না।

ফ্লুকোনাজল ক্যাপসুল ৫০ - ১৫০ মিঃগ্রাঃ খাওয়ার নিয়মঃ

Fluconazole capsule 50-150 mg একজন প্রাপ্তবয়স্ক রোগী প্রতিদিন ১ টি করে সেবন করতে পারবে। ঔষুধ সেবনের ডোজ মুলত রোগের সংক্রমণের উপর ভিত্তি করে ডাক্তারগন নির্দেশ দিয়ে থাকেন। ছত্রাক সংক্রমণ তীব্র হলে ৭-২১ দিন, অথবা রোজ ৫০ মি:গ্রা: এর ১ টি ক্যাপসুল ৪৫ দিন পর্যন্ত সেবন করার নির্দেশ দিয়ে থাকে। এগুলো একজন রেজিস্ট্রার ডাক্তারের পরামর্শ মতে গ্রহন করবেন।

Fluconazole / ফ্লুকোনাজল কি এন্টিবায়োটিক?

ফ্লুকোনাজল হলো এক ধরনের এন্টি ফাঙ্গাল জাতীয় ছত্রাক বিরোধী মেডিসিন। অনেক দেশে ফ্লুকোনাজল মেডিসিনটিকে এন্টিবায়োটিকের মতোই হিসেব করেন।

১৯৮১ সালে ফ্লুকোনাজলের পেটেন্ট করা হলেও এটি ১৯৮৮ সাল থেকে বিভিন্ন দেশে বাজারজাত শুরু হয়। আমাদের বাংলাদেশে এবং পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে ও এটাকে এন্টি-ফাঙ্গাল হিসাবেই বিবেচনা করে। যা ছত্রাক বিরোধী একটি কার্যকরী এন্টিবায়োটিক।

ফ্লুকোনাজল ক্যাপসুলের ছবিঃ
ফ্লুকোনাজল-ক্যাপসুল-এর-কাজ-কি

ফ্লুকোনাজল-ক্যাপসুল-এর-কাজ-কি

ফ্লুকোনাজল গর্ভাবস্থায় খাওয়া যাবে কি?

ফ্লুকোনাজল সেবনের ফলে গর্ভাবস্থায় গর্ভাপাতের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়, সুতরাং এর পরিবর্তে অন্য কোনো ওষুধ খাওয়া ভালো। গর্ভাবস্থায় সর্বদা ডাক্তারের পরামর্শে যেকোনো ঔষুধ সেবন করা উত্তম।

সেবনে সতর্কতাঃ

ইন্টারনেটে ভিডিও দেখে বা ব্লগ পোস্ট পড়ে (ফ্লুকোনাজল ক্যাপসুল) ঔষধ সেবন করবেন না, ডাক্তার রোগীর সব ধরনের শারীরিক কন্ডিশন এবং রোগগুলো জেনে তারপরে যে ঔষধ প্রয়োজন সেটিই সেবন করার জন্যে নির্দেশ করবেন।

যাদের গ্যাসটিক আলসার, হার্টের সমস্যা, কিডনিতে সমস্যা তাদের অবশ্যই ডাক্তারদের সাথে পরামর্শ করে ফ্লুকোনাজল ক্যাপসুল সেবন করা উচিৎ।

ফ্লুকোনাজল এর সাইড এফেক্ট / ফ্লুকোনাজল এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াঃ

ফ্লুকোনাজল ক্যাপসুলটি / ট্যাবলেট টি সেবন করার পরে রোগীদের যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো বা সাইড এফেক্ট দেখা যেতে পারে সেগুলো নিচে তুলে ধরা হলোঃ
১। মাথা ব্যাথা
২। বমি বমি ভাব
৩। পেটে ব্যথা (Abdominal Pain)
৪। ডায়রিয়া (Diarrhoea)
৫। চামড়াতে ফুসকুড়ি (Skin Rash)
৬। অ্যালাপেসিয়া বা টাক
৭। মুখ, ঠোঁট, চোখের পাতা, জিহ্বা, হাত ও পায়ে ফোলা

আমাদের ফেসবুক পেজে যুক্ত হতে follow বাটনে ক্লিক করুন