জীবনে-কাউকে-অতিরিক্ত-মূল্য-দিতে-যেওনা

(১) অতিরিক্ত গুরুত্ব দিলে মানুষ ভেতর থেকে অহংকারী হয়ে ওঠে। ততটুকুই গুরুত্ব দেয়া উচিত যতটুকু সে ডিজার্ভ করে.....। যার প্রাপ্য যতটুকু তাকে ততটুকুই দেয়া উচিত... অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো না.............।

(২) যাকে আপনি অতিরিক্ত গুরুত্ব দিবেন, মূল্যায়ন করবেন-----------  তার কাছে আপনি খুব দ্রুতই সস্তা হয়ে যাবেন।  নিজের মূল্য টা ধরে রাখার জন্য হলেও মানুষকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেয়া আজ থেকেই কমিয়ে দিন

(৩) মানুষের ধর্মই হলো যোগ্যতার চেয়ে বেশি পেয়ে গেলে মূল্য দিতে জানে না....... কাউকে অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে তার কাছে নিজেকে মূল্যহীন করাটা বোকামি ছাড়া আর কিচ্ছু নয়।

(৪) যে এক আনা পাবার যোগ্যতা রাখে, তাকে যদি আপনি ষোল আনা দিতে যান তাহলে ঐ মানুষটা আপনাকে এক আনার মূল্যও দিতে পারবে না...... বরং আপনাকে আরো মূল্যহীন ভাবতে শুরু করবে.....

(৫) যে আপনাকে যতটা মূল্য দিবে, গুরুত্ব দিবে তাকে ঠিক ততটুকুই মূল্য কিংবা গুরুত্ব দেয়া উচিত... অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে কারো কাছে নিজেকে ছোট করবেন না। ব্যক্তিত্ব ধরে রাখতে শিখুন..... একজন ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষ বরাবরই অন্যের পছন্দের তালিকায় থাকে..... সুতরাং আপনার ব্যক্তিত্ব যতো স্ট্রং হবে, মানুষ আপনাকে ততবেশি মূল্যায়ন করবে... এবং গুরুত্ব দিতে থাকবে।

(৬) নিজের ব্যক্তিত্ব ধরে রাখার জন্য হলেও আপনাকে কোথায় থামতে হবে, আর কোথায় চলতে হবে সেটা অবশ্যই আপনার বোঝা দরকার। অন্যকে গুরুত্ব দেয়ার থেকে নিজেকে গুরুত্ব দিন।

(৭) টাকা পয়সা কিংবা বাড়ি গাড়ি আপনি আজ হারালেও কাল হয়তো আবার সব কিছু পেয়ে যাবেন। কিন্তু ব্যক্তিত্ব একবার হারিয়ে ফেললে তা আপনি আর কখনই ফেরত পাবেন না...........

(৮) অন্যকে গুরুত্ব দিয়ে ঠকে গেলে ও নিজেকে গুরুত্ব দিয়ে কখনো কেউ ঠকে যায়নি...... বরং যে মানুষটা নিজেকে গুরুত্ব দিতে জানে, তাকে কেউ আঘাত দিতে পারে না..... এমনকি ভাঙতে পারে না।

(৯) যে মানুষটা তোমাকে অবহেলা করছে...... ইগনোর করছে...... তুমি তখন তার অবহেলা কিংবা ইগনোর কে প্রশ্রয় দিওনা।  বরং তুমি তোমার মতো করেই নিজেকে ব্যস্ত রাখো, এ তে করে মানুষটা যেনো বুঝতে পারে তুমি তাকে ছাড়া দিব্যি ভালো থাকতে পারো।

জীবনে কাউকে অতিরিক্ত মূল্য দিতে যেওনাঃ

(১০) কাউকে অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে যখন অবহেলিত, তখন সেই মানুষটাকে মূল্য দেয়া বন্ধ কর......। তোমার যেখানে মূল্য নাই, সেখানে মূল্য দেয়া বোকামি ছাড়া আর কিচ্ছু নয়।

(১১) অবহেলা কিংবা ইগনোরের মাত্রা তখনই বেড়ে যায় যখন অপর মানুষটা বুঝে যায় যে তুমি তাকে ছাড়া অচল....... অর্থাৎ তোমার পুরোটা দিনরাত তুমি তাকে নিয়েই পড়ে আছো।
 মানুষ তখনই অন্যকে তুচ্ছ ভাবা শুরু করে যখন তারকাছে অন্যকেউ নিজেকে বিলিয়ে দেয়... ছোট করে দেয়।

(১২) কারো কাছে অবহেলার পাত্র হওয়ার থেকে জীবন থেকে সেই মানুষটাকে মুঁছে ফেলা ভালো... যদিও এতে করে কিছুটা কষ্ট হবে কিন্তু কারো কাছে নিজেকে ধুকে ধুকে শেষ হয়ে যেতে হবে না... যে তোমাকে এখনই অবহেলা করছে, সে পরে আরো বেশি করে অবহেলা করবে যদি তুমি মানুষটাকে বেশি মূল্য দিও!!

(১৩) কেউ তোমাকে চাইলেই অবহেলা করার সুযোগ পাবে না, যদি তুমি তাকে সেই সুযোগটা না দাও... তোমার প্রতি যে মানুষটা যতটুকু গুরুত্ব দেখাবে, তোমারও সেই ততটুকুই গুরুত্ব দেয়া উচিত... অতিরিক্ত গুরুত্ব দিলে মানুষটা তোমাকে গুরুত্বহীন ভাবতে শুরু করবে !!

(১৪) যে তোমার কাকুতিমিনতি বুঝে না... তোমার মনের কষ্ট যার মনে বিন্দুমাত্র অনুভব হয় না, সেই মানুষটা আর যাই হোক তোমার মনের হাহাকার কোনোদিন বুঝবে না... মানুষটা দিনশেষে তোমাকে ঠিক অবহেলার পাত্র ই বানিয়ে যাবে.

(১৫) জীবনে কারো উপর খুব বেশি ভরসা রাখতে নেই!কারো কাছে অবহেলার পাত্র হওয়াটা যেমন কষ্টের ঠিক তেমনই লজ্জার বিষয় !!

(১৬) প্রয়োজনের চেয়ে তুমি যখন কাউকে অতিরিক্ত মূল্য দিবে তখন সেই মানুষটা তোমাকে সস্তা ভাবতে শুরু করবে সেই সাথে নিজেকে অহংকারী মনে করবে... কারণ অতিরিক্ত মানুষ কোনো কিছুই হজম করতে পারে না, হোক সেটা ভালোবাসা !

(১৭) কাউকে জীবনের সাথে খুব বেশি সিরিয়াসলি নিতে নেই... কারণ আপনি যখন কাউকে সিরিয়াসলি নিবেন ঠিক তখনই মানুষটা বদলে যেতে শুরু করবে... কারণ মানুষের ধর্মই হলো সবটা পেয়ে গেলে বদলে যাওয়া।

প্রিয় ভাই ও বোনেরা পোস্ট টি এখানেই সমাপ্ত করছি, এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের এই ব্লগটি ভিজিট করবেন। আমরা প্রতিনিয়ত হেল্পফুল নতুন নতুন পোস্ট করে থাকি যাতে ভিজিটরদের প্রয়োজনীয় তথ্য গুলো দিয়ে পাশে থাকতে পারে।

আমাদের ফেসবুক পেজে যুক্ত হতে follow বাটনে ক্লিক করুন