বাচ্চাদের খাওয়ানোর কার্যকরী ৭টি টিপস

৬ মাস থেকে ২ বছরের বাচ্চাদের আগের তুলনায় ৩ গুন বেশী খাবার খাওয়ানোর ৭ টি কার্যকরী টিপস আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো এই আর্টিকেলে, আশাকরি আপনাদের অনেক কাজে আসবে।

বিনোদনের মাধ্যমে বাচ্চাদের খাওয়ানোর টিপস

খাওয়ানোর যতগুলো টিপস রয়েছে তারমধ্যে এটিই সবার সেরা, এই পদ্ধতি টি অবল্বন করে শিশুদের মধ্যে ৯৯% বাচ্চাদেরকেই এই নিয়মে ভালোভাবে পেট ভরে খাওয়ানো যায়। সুতরাং এটি আপনার শিশুর জন্য এপ্লাই করত পারেন, আশাকরি ভালো ফলাফল পাবেন।

আপনার বাচ্চা যদি ৬ মাস থেকে ৩ বছরের হয়ে থাকে তাহলে আপনি খাবার নিয়ে হেটে হেটে এটা ওটা দেখিয়ে আনন্দে রেখে তারপর পেট ভরে খাওয়াবেন তবে শিশুর খেতে খেতে আর না চাইলে তখন আর জোর করবেন না। অনেকেই আছেন যারা মোবাইলে গান বা কার্টুন দেখিয়ে খাবার খাওয়ায় কিন্তু এটি একবারেই উচিত নয়, এতে বাচ্চারা ফোনের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে। এছাড়াও বাচ্চা যখন খাবার খায় তখন খাবারের স্বাদ বা কি খাচ্ছে তা হুশ থাকেনা। তাহলে আপনি বুঝতেই পারছেন বিনোদনের মাধ্যেমে খাওয়ানো মানে শুধু নাচ গান বা কার্টুন দেখিয়েই খাওয়ানো নয়।

সঠিক খাবার খুজেঁ বের করুন

আপনার বাচ্চাকে হয়তো আপনি এমন খাবারগুলো খাওয়াচ্ছেন যারফলে সে শারিরীকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছে দিনদিন। আপনাকে খুজে বের করতে হবে আপনার বাচ্চার শরীরে কোন খাবার ক্ষতি করছে। কিছু বাচ্চাদের দেখা যায় প্রায় প্রতি দিনই পাতলা পায়খানা করে তাদের খাবারের লিস্ট চেক করে আপনি যদি একটু যাচাই করেন তাহলে নিশ্চিই বের করতে সক্ষম হবেন যে কোন খাবারটি পেটে গিয়ে সমস্যার সৃষ্টি করছে। সুতরাং যেগুলো আপনার শিশুকে সুট করে এমন খাবার গুলো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খাওয়ালে মানে স্বাদের পরিবর্তন করলে তাহলে ভালো খাবে।

বুকের দুধের পাশাপাশি বাড়তি খাবার খাওয়ানো

আমরা এমন অনেক অভিযোগ পেয়েছি যে তাদের বাচ্চা বুকের দুধ প্রযাপ্ত পরিমানে পাওয়ার কারনে বাচ্চাকে ৬ মাস বয়স থেকে কোনো বাড়তি খাবার না দেওয়ার কারনে এখন ১ বছরের ও বেশী হওয়ার পরেও বাড়তি খাবার খেতে চায়না। সুতরাং আপনাকে ছোটবেলা থেকেই অল্প অল্প করে বাড়তি খাবার দিতে হবে, এতে বাচ্চার একদিকে খাবার খাওয়ার প্রতি রুচি বাড়বে অন্যদিকে বাড়তি খাবারের সাথে নিজ শরীরকে মানিয়ে নিতে পারবে।

স্থান পরিবর্তন করা

আপনার বাচ্চাকে প্রতিদিন যেখানে বসে খাওয়ান সেই রুমটাতে খেতে খেতে সে বিরুক্তিবোধ করতে পারে, আপনি যদি স্থান পরিবর্তন করে খাওয়ানো শুরু করেন তাহলে দেখবেন সে ইনজয় করে আগের তুলনায় আরো ২ গুন বেশী খাচ্ছে।

খাবার খাওয়ানোর রুটিন তৈরী করা

আমরা সবাই অভ্যাসের দাসত্ব করছি, এটি আপনি মানুন বা না মানুন এটিই চিরন্তন সত্যি বলে মনে করে ৯৯% লোকেরা। আপনি আপনার শিশুর জন্য খাবার রুটিন তৈরি করে দেওয়ালে চোখের সামনে রাখতে পারেন। এবং প্রতিদিন ওই একই টাইমে খাবার খাওয়াবেন তাহলে শিশুর ওই যথাসময়ে পেটে ক্ষুদা লাগবে এবং খাওয়ার প্রবনতা ঠিক থাকবে।

বাইরের খাবার না দেওয়া

আপনার শিশুটি যদি বাহিরের খাবার যেমনঃ চিপস, চানাচুর, চকলেট, ললিপপ ইত্যাদি খাওয়ান তাহলে মুখের স্বাদ নষ্ট হয়ে যাবে এর ফলে খাবারের প্রতি অনিহা দেখা যাবে। সুতরাং আপনার বাচ্চাকে বাহিরের এমন খাবারগুলো দেওয়া বন্ধ করে দিন তাহলে আগের তুলনায় অনেক বেশী খাবার খাওয়াতে পারবেন।

ধৈর্য ধারন করতে হবে

বাচ্চা হওয়ার জন্য ও জানেনা কোনটি ওর জন্য ভালো আর কোনটি ওর নিজের জন্য খারাপ। সুতরাং আপনাকে বচ্চাটির ভালোর জন্য ধৈর্য্য রেখে আস্তে আস্তে নানান টিপস ফলো করে খাওয়াতে হবে।

আমাদের ফেসবুক পেজে যুক্ত হতে follow বাটনে ক্লিক করুন